১৯৭১ সালে যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বর্তমানে তা কিছুই নেই। বাংলাদেশে এখন সেই গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার সবই অনুপস্থিত।আমাদের এসব অধিকার ফিরিয়ে আনতে একটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে এবং সেই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। যিনি জেলে আছেন। বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আমির খসরু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল কারণ ছিল গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্রের বাহক হচ্ছে নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যে দলকে নির্বাচিত করে তারাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবে। পাকিস্তান আমলে যেটা হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। তারা নির্বাচনের যে বাহক তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তার প্রতিবাদে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে নেমেছিল। সেদিন ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় গণতান্ত্রিক আন্দোলন হিসেবে শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন আমরা তাদের নাম জানতে চাই। এর তালিকা দেশের মানুষ, এলাকার মানুষ জানতে চায়। বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে বিএনপি যেদিন ক্ষমতায় আসবে সেদিন এদেশের জন্য যারা জীবন দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন তাদের তালিকা প্রণয়ন করবে। তাদের তালিকা প্রণয়ন করে প্রতিটি এলাকায় স্তম্ভের মধ্যে তাদের নাম লেখা হবে। কিন্তু সরকার এ কাজটি করতে কেন এত দ্বিধাগ্রস্ত তা আমরা জানি না।
তিনি বলেন, যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, জীবন দিয়েছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করতে বলার কারণে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এজন্য আমরা তালিকা প্রকাশ করবো।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।