কাবুলে জঙ্গি টার্গেটে মার্কিন সামরিক হামলা, বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণ

কাবুলের রাস্তায় টহল দিচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা।

ছবির উৎস : EPA

কাবুলের রাস্তায় টহল দিচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কাবুল বিমানবন্দরে ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তারা বলছেন তারা নিশ্চিত যে হামলা সফল হয়েছে।

তবে হামলায় বেসামরিক কেউ মারা গেছে কিনা তা তাদের জানা নেই বলে বলছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এই বলে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, কাবুল বিমানবন্দরে আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

ওদিকে কাবুলের পুলিশ জানিয়েছে কাবুল বিমানবন্দরের কাছে একটি বাড়িতে রকেট হামলায় একটি শিশু মারা গেছে।

এই আগে বিভিন্ন সূত্রের খবরে বলা হয়েছিল, কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিরাট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। কোন কোন সূত্র এটিকে একটি রকেট হামলা বলে বর্ণনা করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা কিছু ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেখান থেকে ধোঁয়া উঠছে আকাশে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, সেখানে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে কিভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা পরিস্কার নয়।

বিবিসির সাংবাদিক সেকান্দার কেরমানি বলছেন, তার একটি সূত্র তাকে জানিয়েছে, এটি হয়তো একটি রকেট হামলা ছিল এবং এই রকেট বিমানবন্দরের কাছে একটি বাড়িতে আঘাত করেছে, বিমানবন্দরে নয়। কোন হতাহতের খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

বিমানবন্দরের কাছে শোনা বিস্ফোরণের সঙ্গে মার্কিন হামলার কোন সম্পর্ক আছে কীনা সেটা পরিস্কার নয়।

কাবুলে এখন আর খুব বেশি বিদেশি সাংবাদিক নেই। তবে আল জাজিরার একজন সাংবাদিক, সেখান থেকে তার এক রিপোর্টে বলছেন, আজ সকালে তিনি কাবুল বিমানবন্দরে একটি মার্কিন বিমানও দেখেননি।

বিস্ফোরণের পর সেখানে ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখা যায়।

ছবির উৎস : ANADOLU AGENCY

বিস্ফোরণের পর সেখানে ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখা যায়।

নেটোর অন্যসব দেশ এরই মধ্যে তাদের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে চলে এসেছে। সর্বশেষ বৃটেনের উদ্ধার ফ্লাইটগুলো গতকাল কাবুল ছেড়েছে। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতও আফগানিস্তান ছেড়েছেন।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাবে, অর্থাৎ ৩১শে অগাস্টের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারের যে সময়সীমা বেঁধে দেয়া আছে, সেপর্যন্ত।

রয়টার্স বার্তা সংস্থা একজন পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলছে, এই অভিযান কখন শেষ হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি, তবে এখনো এক হাজারের মতো বেসামরিক নাগরিক বিমানবন্দরে আছে সেখান থেকে ফ্লাইট ধরার আশায়।

এদিকে তালেবান বলছে, ৩১ অগাস্টের পর বিমানবন্দরের দায়িত্ব নেয়ার জন্য তারা পুরোপুরি প্রস্তুত।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *