বিদ্রোহের চেষ্টা, অংশগ্রহণ বা অনুরূপ ষড়যন্ত্রে উসকানি দেওয়ার মতো গুরুতর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আজ মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২২’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যদি কেউ বিদ্রোহের চেষ্টা করে, উসকানি দেয় বা ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়, তাহলে তাকে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, কোনো সদস্য অপরাধ করলে দুই ধরনের অপরাধের বিচারের জন্য দুটি পৃথক আদালত থাকবে– সামারি আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত এবং বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত। সামারি আদালত সাধারণ অপরাধ এবং অসদাচরণের বিচার করবে, আর বিশেষ আদালত গুরুতর অপরাধের বিচার করবে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আপিল ট্রাইব্যুনাল’ থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাধারণ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে তিন বছরের জেল। খসড়া আইনে আনসার ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। জননিরাপত্তা বিভাগ ১৯৯৫ সালের বিদ্যমান আইন সংশোধন না করে, একটি নতুন আইন তৈরি করেছে কারণ এখানে ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
2022-03-28