তিন প্রাণ ভোমরা লিওনেল মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পের গোলে পিএসজির বড় জয়

পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ানের ম্যাচে গোল পেয়েছেন দলের তিন প্রাণ ভোমরা লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। এই দিনটির জন্য প্যারিসের সমর্থকরা অনেকদিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলেন। তিন তারকার এই গোলে কাল লিগ ওয়ানে লোরিয়েন্টকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে টেবিলের শীর্ষে থাকা পিএসজি।
ম্যাচে একেবারেই অপ্রতিরোধ্য ছিলেন ফরাসি তরুন এমবাপ্পে। নিজে জোড়া গোল করা ছাড়াও নেইমারের দুই গোল ও মেসির এক গোলের যোগানদাতাও ছিলেন তিনি। এই প্রথমবারের মত একই ম্যাচে তিনজনের গোল করার এই কৃতিত্ব অনেকদিন মনে থাকবে পার্ক ডি প্রিন্সেসের সমর্থকদের।
বরাবরের মতই ম্যাচ পরবর্তী পুরো গুরুত্বটাই ছিল আগামী মৌসুমে এমবাপ্পের দলবদল নিয়ে। জুলাইয়ে পিএসজির সাথে চুক্তি শেষ হয়ে যাবার পর এমবাপ্পের দল ছাড়ার বিষয়টি এখন সময়ের ব্যপার মাত্র। যদিও ম্যাচ শেষে এমবাপ্পে এ সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি এখনো কোন দল পছন্দ করিনি। মূলত এনিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। আমি মনে করি অনেক কিছুই পাল্টে গেছে, এখানে অনেক বিষয় জড়িত। তবে সবকিছুর পরে আমি কোনভাবেই ভুল কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাইনা। প্রতিদিনই এনিয়ে আলোচনা হচ্ছে, আমি বুঝতে পারছি বিষয়টি খুব বেশী বিলম্বিত হচ্ছে। যখনই কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো সাথে সাথেই সবাইকে জানিয়ে দিব। নিজেকে নিয়ে কারো কাছে ব্যাখ্যা দিতে চাইনা। এটা সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত পছন্দ।’
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে চার ম্যাচে তিন পরাজয়ের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬ থেকে বিদায়, সবকিছুকে পিছনে ফেলে কাল পার্ক ডি প্রিন্সেসে নিজেদের দারুনভাবে প্রমান করেছেন পিএসজি। এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্সেই থেকে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে গেছে প্যারিসের জায়ান্টরা। শিরোপা নিশ্চিতে শেষ আট ম্যাচে তাদের আর মাত্র ১৩ পয়েন্ট অর্জণ করলেই চলবে। এর মাধ্যমেই নিশ্চিত হবে রেকর্ড স্পর্শকারী ১০ম ফরাসি শিরোপা।
১২ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন এই গোলের পিছনে মেসি ও এমবাপ্পের যৌথ সহযোগিতা ছিল। ইনজুরি আক্রান্ত মৌসুমে এনিয়ে ষষ্ঠ গোল করলেন নেইমার। ২৮ মিনিটে পোস্টের খুব কাছ থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন এমবাপ্পে। ৫৬ মিনিটে পিএসজির রক্ষনভাগের ভুলে টেরেম মোফি গোল করে লোরিয়েন্টের আশা জাগিয়ে তুলেন। আর্চাফ হাকিমির ঢিলেঢালা একটি পাস ধরতে পারেননি মারকুইসহোস। সেই সুযোগে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার মোফি বল কেড়ে নিয়ে গিয়ানলুইগি ডোনারুমাকে পরাস্ত করেন। লোরিয়েন্ট যখন ম্যাচে ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল তখনই ২০ মিটার দুর থেকে এমবাপ্পের দুর্দান্ত গোলে পিএসজি ৩-১ গোলের লিড নেয়। এনিয়ে লিগে এমবাপ্পের গোলসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৭। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে তাকা মোনাকোর উইসাম বেন ইয়েডারের তুলনায় আর এক গোল পিছিয়ে আছেন এমবাপ্পে। ৭৩ মিনিটে এমবাপ্পের সহযোগিতায় মেসি দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন। জানুয়ারির পর কালই প্রথম বদলী হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। কাফ ইনজুরির কারনে রামোস এতদিন বিশ্রামে ছিলেন। ম্যাচের শেষ ভাগে একটি শট পোস্টে না লাগলে হ্যাটট্রিক পূরণ করতে পারতেন এমবাপ্পে। তবে একেবারে শেষ মিনিটে নেইমারকে দিয়ে দলের পঞ্চম গোলটি করিয়েছেন এই ফরাসী তারকা।
এর মাধ্যমে ঘরের মাঠে ১৫ ম্যাচের মধ্যেই ১৪টিতেই জয় তুলে নিল মরিসিও পোচেত্তিনোর দল।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *