অবশেষে নূপুরের বিরুদ্ধে মামলা

পুলিশের করা মামলায় এক সাংবাদিক, একাধিক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী ও বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যদের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—পিস পার্টির প্রধান মুখপাত্র শাদাব চৌহান, সাংবাদিক সাবা নাকভি, হিন্দু মহাসভার অফিসকর্মী পূজা শকুন পাণ্ডে, রাজস্থানের মাওলানা মুফতি নাদিম, আবদুর রহমান, অনিল কুমার মীনা, গুলজার আনসারি।

মামলায় ঘৃণামূলক বক্তৃতা প্রদান, উসকানি দেওয়া, সমাজের শান্তি-সম্প্রীতি বিঘ্নিত করে—এমন পরিস্থিতি তৈরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

কারও অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে, না কি দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের সাইবার ইউনিট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তা করেছে, সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের বিলম্ব ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিজেপির তৎকালীন জাতীয় মুখপাত্র নূপুর সম্প্রতি এক টেলিভিশন বিতর্কে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। পরে বিজেপির দিল্লি শাখার তৎকালীন গণমাধ্যম প্রধান নবীনও মহানবী (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর টুইট করেন।
সমালোচনার মুখে নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন নূপুর। আর নিজের করা টুইট মুছে ফেলেন জিন্দাল।

দুই নেতা-নেত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের ব্যাপারে প্রথমে নিশ্চুপ ছিল বিজেপি ও ভারত সরকার। দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠলে বিজেপি ও ভারত সরকার নড়েচড়ে বসে। নূপুরকে সাময়িক ও জিন্দালকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করে বিজেপি।

বিজেপির দুই নেতার মন্তব্যর পর কমপক্ষে ১৬টি দেশ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ ভারতের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
দেশ-বিদেশে সৃষ্ট ক্ষোভ প্রশমনে বিজেপির একাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিজেপির দুই নেতা-নেত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে দলের মুখপাত্র ও নেতাদের টিভি বিতর্কে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন সীমারেখা নির্ধারণ করেছে বিজেপি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *