বুড়ো বয়সেও ব্যাটে ঝড় তুললেন রফিক

স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ক্রিকেটার আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল বীরউত্তম ও সংগঠক মুশতাক আহমেদের স্মরণে প্রতি বিজয় দিবসে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ খেলে থাকেন দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যে ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে শহীদ মুশতাক একাদশকে জিতিয়েছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তোলে শহীদ জুয়েল একাদশ। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন এহসানুল হক সেজান। এছাড়া, সজল চৌধুরী ৪৬, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ ৩২, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ১৬, নাইমুর রহমান দুর্জয় ৫ ও খালেদ মাহমুদ সুজন ৩ রান করেন।

শহীদ মুশতাক একাদশের হয়ে দুটি উইকেট নেন শফিউদ্দিন আহমেদ। এদিকে, শহীদ জুয়েল একাদশে সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন ও আকরাম খানের নাম থাকলেও ব্যাট করতে নামেননি এ দুজন। তবে ফিল্ডিংয়ে নামেন ঠিকই।

জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও তৃতীয় উইকেটে ১১৮ রান তোলেন শহীদ মুশতাক একাদশের মোহাম্মদ রফিক ও মেহরাব হোসেন অপি। দলটির জয় নিশ্চিত হয়েছে তাতেই।

যদিও জয় নিশ্চিত হওয়ার মাত্র ৭ রান আগে আউট হন বাঁহাতি এই সাবেক মারকুটে। ফিরে যাওয়ার আগে ব্যাটে ঝড় তুলে ৩৯ বলে ৮১ রান করেন রফিক। এমন ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮টি চার ও ৫টি ছক্কার মার।

অন্যদিকে, মেহরাব হোসেন অপি ৪৭ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া হারুনুর রশিদ ১২, জাভেদ ওমর বেলিম ৬ রানে আউট হন। জাহাঙ্গীর শাহ ২ রানে অপরাজিত ছিলেন। তবে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলায় স্বাভাবিভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে মোহাম্মদ রফিকের হাতে।

শহীদ জুয়েল স্কোয়াড:
নাইমুর রহমান দুর্জয়, হাবিবুল বাশার, আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, এনামুল হক মনি, সজল চৌধুরী, খালেদ মাহমুদ সুজন, নাসির আহমেদ নাসু, এহসানুল হক সেজান, নিয়ামুর রশিদ রাহুল, মোহাম্মদ সেলিম (উইকেটকিপার), হাসিবুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল হাসান রানা।

শহীদ মুশতাক স্কোয়াড:
মেহরাব হোসেন অপি, জাহাঙ্গীর আলম, হারুনুর রশিদ লিটন, আনোয়ার হোসেন (উইকেটরক্ষক), ফারুক আহমেদ, জাভেদ ওমর বেলিম, মোহাম্মদ আলি, খালেদ মাসুদ পাইলট , তারেক আজিজ খান, মুশফিকুর রহমান বাবু, মোর্শেদ আলি খান সুমন, মোহাম্মদ রফিক, আনেয়ার হোসেন মনির ও শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *