রাজধানী এবং এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে গ্যাসের জন্য হাহাকার অব্যাহত রয়েছে। রোজার প্রথম দিনের ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার দ্বিতীয় রোজার দিনেও গ্যাস না পেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে গ্রাহকদের। কোথাও সারা দিনই গ্যাস ছিল না। কোথাও এক বেলা টিমটিম করে জ্বললেও অন্য বেলা জ্বলেনি গ্যাসের চুলা। ফলে ইফতার-সেহরির খাবার তৈরি নিয়ে বিপাকে পড়ে মুসলিম পরিবারগুলো। তবে কিছু কিছু স্থানে সারা দিন মোটামুটি চাপের গ্যাস পেয়েছেন আবাসিক গ্রাহকরা।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, সিলেটে শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ থেকে গত শনিবার রাতে গ্যাস উত্তোলনের সময় বালু উঠতে শুরু করে। এ কারণে ছয়টি কূপ থেকেই গ্যাস উত্তোলন গত শনিবার রাতে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে প্রায় ৪০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমে যায়। এর মধ্যে গত রবিবার সন্ধ্যায় একটি কূপ ঠিক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে আরো তিনটি কূপ ঠিক হওয়ার কথা রয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার সকালে গ্যাসের সরবরাহ বাড়তে পারে। এছাড়া পেট্রোবাংলা ও সামিটের এলএনজি সরবরাহ ক্ষমতা দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট থাকলেও তা এখন ৫০ কোটি ঘনফুটের মতো। ১০ এপ্রিল নাগাদ এলএনজি সরবরাহ কিছুটা বাড়ানো যাবে। তখন বিদ্যমান গ্যাস-সংকট অনেকটা কমে যাবে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গ্যাস না পেয়ে আগের দিনের মতো গতকালও অনেকে বিকল্প উপায়ে রান্নার কাজ সেরেছেন। যাদের সে উপায় ছিল না তাদের খাবার কিনতে হয়েছে। কিন্তু অনেকেই তাদের নিকটবর্তী রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার পাননি। দাম বেড়েছে খাবারের। অনলাইনে অর্ডার করে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর তা বাতিল হয়ে যায়। এভাবে ভোগান্তি বেড়েছে গ্রাহকদের।
গতকাল সোমবার পেট্রোবাংলার উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তারিকুল ইসলাম খানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য হ্রাসকৃত হারে গ্যাস সরবরাহের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস স্বল্পতার সৃষ্টি হতে পারে। রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত সম্পন্ন করে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।