দাম বেড়ে গেল বোতলজাত শর্ষের তেলের

দোকানিরা বলছেন, এসব তেলেও এক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। তবে ঈদের পরও কোনো কোনো কোম্পানি নতুন করে আরেক দফা দাম বাড়িয়েছে। সেসব বোতল এখনো বাজারে আসেনি বলে আপাতত পুরোনো দামেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চট্টগ্রামের বাজারে ঈদের পর বোতলজাত শর্ষের তেলের দাম এক লাফে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। চট্টগ্রামে রোজার সময় খুচরা পর্যায়ে বাজারে বেশির ভাগ কোম্পানির বোতলজাত শর্ষের তেল বিক্রি হয়েছিল প্রতি লিটার ২৮০-২৯০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়। চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান বলেন, শর্ষের তেলের দাম ঈদের পর কোম্পানিগুলো এক লাফে ৭০-৮০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। রাঁধুনি, শঙ্খ, কেয়া, তীর, সুরেশসহ সব ব্র্যান্ডের শর্ষের তেলের দামই বেড়েছে।

শর্ষের তেল তৈরি হয় শর্ষের দানা বা বীজ থেকে। স্থানীয়ভাবে শর্ষের চাষ হয়। শর্ষের তেল তৈরির বীজের বড় অংশই স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করে কোম্পানিগুলো। কিছু কিছু কোম্পানি আমদানি করে সেগুলো মিলে ভাঙিয়ে তেল তৈরি করে। দেশে শর্ষের বীজের একটি বড় অংশ সংগ্রহ করা হয় পাবনা থেকে। সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হওয়ার পর থেকে শর্ষের তেল ও বীজের বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ঈদের আগে যে শর্ষের বীজ মানভেদে প্রতি মণ ৩ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল সেই দাম উঠেছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। পাবনায় গতকাল রাঁধুনি ব্র্যান্ডের প্রতি লিটার শর্ষের তেল বিক্রি হয়েছে ৩৮৫ টাকায়। ঈদের আগে এ দাম ছিল ৩৬০ টাকা।

কোম্পানিগুলো বলছে, দেশের কোথাও কোথাও শর্ষের বীজ প্রতি মণ ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিনের সংকট দেখা দেওয়ার পর থেকেই এর বীজের দামও বেড়ে গেছে বলে কোম্পানিগুলোর দাবি। জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বঙ্গ মিলারসের নির্বাহী পরিচালক নাসের আহমেদ বলেন, ‘মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে শর্ষের বীজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে গেছে। এখনো পুরোনো বীজে তৈরি তেল বাজারজাত করছি বলে আমরা দাম বাড়াইনি। তবে নতুন কেনা বীজ থেকে তৈরি তেল যখন বাজারে আসবে, তখন দাম বাড়বে।’

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *