সর্বোচ্চ শিরোপার মালিক আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি

ইন্টার মায়ামির ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন লিওনেল মেসি। ক্লাবটির প্রথম শিরোপা জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। শুধু মায়ামিকে প্রথম শিরোপার স্বাদ দেননি মেসি; নিজেও গড়েছেন একটি রেকর্ড। বিশ্ব ফুটবলে এখন সর্বোচ্চ শিরোপার মালিক আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।

যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর ক্লাবগুলোকে নিয়ে আয়োজিত লীগস কাপে ইন্টার মায়ামিকে চ্যাম্পিয়ন করে ফুটবল ইতিহাসে এককভাবে শিরোপা জয়ে সবার ওপরে উঠলেন লিওনেল মেসি। এতে তিনি পেছনে ফেলেছেন বার্সেলোনার সাবেক সতীর্থ দানি আলভেজকে। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ক্যারিয়ারে ৪৩টি শিরোপা জিতেছেন। কাতার বিশ্বকাপ জিতে আলভেজকে স্পর্শ করেছিলেন মেসি। এবার লীগস কাপ জেতায় আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের শিরোপা সংখ্যা হলো ৪৪টি।

ক্যারিয়ারে বার্সেলোনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫টি শিরোপা জিতেছেন লিওনেল মেসি- ১০টি লা লিগা, ৭টি কোপা দেল রে, ৮টি সুপারকোপা, ৪টি চ্যাম্পিয়নস লীগ, ৩টি উয়েফা সুপার কাপ, ৩টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। পিএসজির হয়ে দুই বছরে ৩টি শিরোপা জিতেছেন মেসি- ফরাসি লিগ ওয়ান ২টি এবং ট্রফি দে চ্যাম্পিয়নস ১টি। আর্জেন্টিনার হয়ে ৫টি আন্তর্জাতিক শিরোপা রয়েছে মেসির ঝুলিতে- ফিফা বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, ফিনালিসিমা, অলিম্পিক এবং যুব বিশ্বকাপ।

টাইব্রেকারে দুই দলের ১১ জন খেলোয়াড়ের প্রত্যেকেই নিলেন শট। তা বিরল নয়তো কি! ম্যারাথন শুটআউট শেষে বাজিমাত করে ইন্টার মায়ামি।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জিতল লিওনেল মেসির দল। লিগস কাপের ফাইনালে নাশভিলেকে ২২ শটের টাইব্রেকারে ১০-৯ ব্যবধানে হারায় তারা।
মেসি যোগ দেওয়ার পর থেকেই রীতিমত বদলে যায় মায়ামি। একসময় হারের বৃত্তে থাকা মার্কিন ক্লাবটি মেসির জাদুতে ভর করে লিগস কাপে দেখায় একের পর এক চমক। গোলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ফাইনালেও স্কোরশিটে নাম লেখান। জিওডিস পার্কে ম্যাচের ২৩ মিনিটে একক দক্ষতায় বাঁ পায়ের বাকানো শটে দুর্দান্ত এক গোল করেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর অবশ্য ধাক্কা খায় মায়ামি। ৫৭ মিনিটে ফাফা পিকাউলতের গোলে সমতায় ফেরে নাশভিলে। এরপর ১-১ ব্যবধানে শেষ হয় খেলার ৯০ মিনিট। অতিরিক্ত সময়েও অবিচ্ছিন্ন করা যায়নি দুই দলকে। তাই আশ্রয় নিতে হয় টাইব্রেকারের। স্পটকিক থেকে মায়ামির হয়ে প্রথম শটেই বল জালে ফেলেন মেসি। প্রথম শটে গোল পায় নাশভিলেও, তবে দ্বিতীয় শটে মিস করে তারা। টানা চার শটে গোলের দেখা পাওয়া মায়ামি হোঁচট খায় পঞ্চম শটে গিয়ে।  মিস করে বসেন ভিক্টর উল্লোয়া। এরপর খেলা গিয়ে ঠেকে ১১তম শটে। যেখানে নাশভিলে গোলরক্ষকের শট ঠেকিয়ে দেন ড্রেক ক্যালেন্ডার। যার ফলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে মায়ামি।
৭ ম্যাচে ১০ গোল করায় আসরের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটি অনুমিতভাবেই ওঠে মেসির হাতে।  ব্যক্তিগতভাবে আরও অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন তিনি। লিগস কাপ জিতে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক সতীর্থ দানি আলভেসকে। এটি তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ৪৪তম শিরোপা।
শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *