কাশ্মীর ও আসামের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগরি স্ট্যানটন। এই দুই অঞ্চলে গণহত্যার পূর্ববর্তী ধাপ বিরাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। খবর ইন্ডিয়াটুডের।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ও দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের এক অনুষ্ঠানে ভারতের চলমান অস্থিরতা নিয়ে আলোচনা করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
‘গণহত্যার ১০ ধাপ’ তৈরির জন্য বিখ্যাত স্ট্যানটন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ১৯৯৬ সালে কাজ করার সময় গণহত্যার এই ১০টি ধাপ তৈরি করেছিলেন। পরিকল্পিতভাবে একটি জনগোষ্ঠীর ওপর কীভাবে গণহত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হয়, সে চিত্রটিই উঠে এসেছে এ উপস্থাপনায়।
স্ট্যানটন বলেন, আসাম থেকে ‘মুসলিমদের বের করে দেয়ার যে অজুহাত দাঁড় করানো হচ্ছে’ তা দেখে মনে হচ্ছে- কাশ্মীর ও আসামে ‘চলমান গণহত্যা’ একটি ‘ক্লাসিক কেস’ এবং ‘গণহত্যার ১০ ধাপের’ নমুনা অনুসরণ করছে।
জেনোসাইড ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গণহত্যার ১০টি ধাপ হলো-
প্রথম ধাপ: সমাজে বিভাজন তৈরি করা। এই বিভাজন ‘আমরা’ বনাম ‘তারা’।
দ্বিতীয় ধাপ : একটি প্রতীক দাঁড় করানো, ভুক্তভোগীদের ‘বিদেশি’ হিসেবে ডাকা।
তৃতীয় ধাপ: বৈষম্য। একটি শ্রেণিকে নাগরিকত্বের বাইরে রাখা। বৈষ্যমের আইনি বৈধতা তৈরি করা। যেন ওই শ্রেণির মানুষের কোনও নাগরিক বা মানবিক অধিকার না থাকে।
চতুর্থ ধাপ: অমানবিকীকরণ করা। যখন গণহত্যার বিষয়টি অগ্রসর হতে থাকে। যেকোনোভাবে ভিকটিমকে নিকৃষ্ট হিসেবে তুলে ধরা। তাদেরকে সন্ত্রাসী কিংবা অন্য কোনো জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা। অথবা ক্যানসারের মতো রোগের সঙ্গে টার্গেট জনগোষ্ঠীকে তুলনা করা। যেন তাদেরকে সমাজের কাছে বালাই হিসেবে উপস্থাপন করা যায়।
পঞ্চম ধাপ: গণহত্যা সংঘটনের জন্য একটি সংস্থা তৈরি করা।
ষষ্ঠ ধাপ: মেরুকরণ, যা প্রচারণার মাধ্যমে করা হয়।
সপ্তম ধাপ: প্রস্তুতি।
অষ্টম ধাপ: নিপীড়ন। বর্তমানে আসাম ও কাশ্মীর এই ধাপে রয়েছে।
নবম ধাপ: নির্মূলকরণ।
দশম ধাপ: অস্বীকার করা।