আবারো বিশ্বকাপ থেকে বাদ পরলো ইতালি

নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে ইতালির হার এবং টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে খেলতে না পারার হতাশায় ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না কোচ রবার্তো মানচিনি।

ঘরের মাঠে ৬০টি বিশ্বকাপ বাছাই খেলে প্রথম হারে প্লে অফের সেমিফাইনালেই ছিটকে গেলে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। একেবারে শেষ মুহূর্তে, ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে আলেক্সান্দার ত্রাজকোভস্কি বক্সের বাইরে থেকে তাদের জাল কাঁপান।

এমন অপ্রত্যাশিত হার মেনে নিতে পারছেন না মানচিনি। ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করলে ইউরো জয়ী কোচ বললেন, ‘দেখা যাক কী হয়। আমি মনে করি ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার মতো অবস্থায় আমরা কেউ নেই। আমি কী বলব জানি না।’

গত জুলাইয়ে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ফাইনালে হারিয়ে ইউরো জিতেছিল ইতালি। এক বছর না হতেই এমন হতাশাজনক পরিণতি। মানচিনি বললেন, ‘গত মৌসুম ছিল আনন্দে ভরা। এখন দেখলাম চরম হতাশা। অন্য ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবা এখন সহজ নয়। আমি আমার ছেলেদের জন্য খুব দুঃখিত। গত জুলাইয়ের তুলনায় আজকে রাতে আমি তাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।’

হারের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিলেন তিনি, ‘আমি কোচ, আমি সবার আগে দায়ী, ছেলেরা নয়। তাদের দারুণ ভবিষ্যৎ আছে। জাতীয় দলের ভবিষ্যতের জন্য তারা শক্তিশালী খেলোয়াড়। এই হার আমাদের প্রাপ্য নয়।’

মেসিডোনিয়ার গোলে ৩২ শট নিয়েছিল ইতালি, যেখানে প্রতিপক্ষ শট নেয় মাত্র পাঁচটি। এমন নয় যে মেসিডোনিয়া গোলরক্ষক স্টোল দিমিত্রিয়েভস্কিকে তার জীবন দিয়ে খেলতে হয়েছিল। খুব কঠিন কোনো সেভ তাকে করতে হয়নি। বরং স্বাগতিকরা বেশি সুযোগ নষ্ট করেছে।

ইতালি অধিনায়ক জর্জিও চিয়েল্লিনি বলেছেন, ‘আমি আমার সতীর্থদের নিয়ে গর্বিত। আমরা সবাই ধ্বংস হয়েছি এবং হৃদয় ভেঙে গেছে। কিন্তু আমাদের আবার শুরু করতে হবে। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে কথা বলা কঠিন, এটা অনেক বড় ক্ষত হয়ে থাকবে। আমি আশা করি কোচ আমাদের সঙ্গে থাকবেন, তিনি এই দলের জন্য অপরিহার্য একজন

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *