পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেছেন, সরকারের সঙ্গে তার কোনো চুক্তি হয়নি। তিনি রক্তপাত এড়াতেই আজাদি মার্চের কর্মসূচি বাতিল করেছেন। এদিকে, আজাদি মার্চ মোকাবিলায় নিরাপত্তা খাতে সরকারের ১৪৯ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি খরচ হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর প্রকাশ করেছে ডন ও জিও নিউজ।
ইমরান খান লংমার্চ বাতিল করার পর প্রশ্ন উঠেছে তিনি সরকারের সঙ্গে গোপনে চুক্তি করেছেন। এর জবাবে গতকাল পেশোয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান দাবি করেছেন, ‘আমার কর্মীরা আমাকে প্রশ্ন করছেন, কেন আমি আজাদি মার্চ তুলে নিলাম। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমি ১২৬ দিন অবস্হান ধর্মঘট করা মানুষ। এবারও সেই কাজটি করা আমার জন্য কঠিন কিছু নয়। তবে বর্তমান পরিস্হিতি খুব খারাপ। সেটা বিবেচনায় নিয়েই আমি লংমার্চ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে সরকার দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করলে প্রয়োজনে আবারও এই কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
ইমরান খান দাবি করেন, সরকার বেছে বেছে পুলিশ মোতায়েন করেছে যারা পিটিআই কর্মীদের ওপর চড়াও হয়েছে এবং নির্যাতন চালিয়েছে। সরকারের এই সন্ত্রাস দেখে জনগণ ক্ষুব্ধ এবং তারাও সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্ত্তত। ইমরান খান বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে জনগণ যে পরিমাণে সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ তাতে যে কোনো সময় বড় ধরনের রক্তপাত হতে পারে। পুলিশ বাহিনীর দোষ নয়, সরকারই এভাবে কাজ করতে পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে।
ইমরান খান দাবি করে বলেন, সরকার যদি পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দেয় এবং রক্তপাত ঘটে তাহলে সরকারকেই দায় নিতে হবে। ইমরান খান দাবি করেন, ‘মার্চ বাতিল করেছি’—এর অর্থ এই নয় যে, আমরা দুর্বল হয়ে গেছি এবং কোনো চুক্তি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, অনেকে বলছেন, আমরা এস্টাব্লিশমেন্টের সঙ্গে চুক্তি করেছি। তাই এটা বলে দিতে চাই যে, পিটিআই কখনো এই আমদানি করা সরকারের সঙ্গে সমঝোতা বা চুক্তি করবে না। ইমরান বলেন, এটা আমার কাছে একটা জিহাদ। আমি জীবিত থাকার পূর্ব পর্যন্ত এই আমদানি করা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব। তিনি জানান, মার্চ করতে গিয়ে তার কী পরিমাণ কর্মী আহত হয়েছেন এবং এরপরও তাদের চুপ করে বসে থাকা উচিত কি না তা জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে তিনি চিঠি লিখেছেন।