জুনে দেশে ৪৭৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২৪ জনের মৃত্যু

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৃত ৫২৪ জনের মধ্যে শিশু ছিল ৭৩ ও নারী ৬৮ জন। ১৯৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান ২০৪ জন, যা মোট মৃতের ৩৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মোট দুর্ঘটনা বিবেচনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪২.১৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৭ জন পথচারী মারা গেছেন, যা মৃতের ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী মারা গেছেন ৮৬ জন অর্থাৎ ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এ সময়ে ৮টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৯ জন মারা গেছেন, ১৬ জন আহত ও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু ও ৪ জন আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ ঘটেছে ভোরে, ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ সকালে, ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ  দুপুরে, ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বিকেলে, ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং সন্ধ্যায় ও ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ ঘটেছে রাতে।

দুর্ঘটনার বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৫ দশমিক ০৫ শতাংশ ও প্রাণহানি ২৬ দশমিক ৫২ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ।

এ ছাড়াও খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৯ শতাংশ ও প্রাণহানি ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও প্রাণহানি ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ; রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও প্রাণহানি ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ; এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ ও প্রাণহানি ৬ দশমিক ১০ শতাংশ ঘটেছে।

রাজধানীতে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু ও ৬ জন আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংগঠনটির বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ১০টি সুপারিশও করেছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *