টানা তিন বছরে তিন ফাইনাল হারের যন্ত্রণা কাটিয়ে চার বছরের মধ্যে তিনটি বড় ট্রফি জয়-দশ বছরের ব্যবধানে হৃদয়ের পুরনো ক্ষত পুরোপুরি ভোলার সুযোগ পেলেন আনহেল ডি মারিয়া। আর শিরোপা দিয়েই তিনি রাঙালেন শেষটা। তাই তো বিদায়ী ম্যাচ খেলে বললেন, এমন অবসরের স্বপ্নই দেখেছেন সবসময়।
ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ৩৬ বছর বয়সী ডি মারিয়া বলেন, “এটি ভাগ্যে লেখা ছিল। ঠিক এমনই, আমি স্বপ্ন দেখেছি। এভাবেই অবসর নেওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। আমার এখন অনেকগুলো সুন্দর অনুভূতি আছে। আমি এই প্রজন্মের কাছে চির কৃতজ্ঞ যারা এসব অর্জন সম্ভব করেছে, যেগুলো আমি খুব করে চেয়েছিলাম।”
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষটা যেমন সাফল্যময় করলেন ডি মারিয়া, এর ঠিক বিপরীতটাও দেখেছেন তিনি। ২০১৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপের পর ২০১৫ ও ২০১৬ সালের ফাইনালে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। প্রতিটিরই সঙ্গী ছিলেন ডি মারিয়া। তার যন্ত্রণা একটু বেশিই ছিল কারণ চোটের কারণে খেলতে পারেননি ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে। সেই বেদনাময় সময় পেছনে ফেলে এবার সাফল্যের শিখরে ভাসছেন ডি মারিয়া, ভাসছে আর্জেন্টিনা। বিদায়ী মিডফিল্ডারের মতে, এমনটা প্রাপ্যই ছিলেন তারা। ডি মারিয়া বলেন, “এমনভাবে শেষ করার চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে? ফাইনালে ওঠা এবং সেগুলো জেতা সহজ নয়। আমি জানি, কারণ মুদ্রার উল্টো পিঠের জীবনটাও আমি দেখেছি। এখন এটি হচ্ছে। কোনো এক পর্যায়ে এটি হওয়ারই ছিল।”
আগেই অবসরের ঘোষণা দেওয়া ডি মারিয়ার জন্য বিশেষ করে ফাইনাল ম্যাচটি জিততে চেয়েছিলেন মেসি। অ্যাঙ্কেলের তিনি আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মাঠ ছাড়ার পর তার ভূমিকাতেই খেলেন ডি মারিয়া। দীর্ঘ দিনের সতীর্থকে আরেকটি শিরোপা উপহার দিতে পারায় তার উচ্ছ্বাস যেন আরও বেশি। মারিয়া বলেন, “অ্যাঙ্কেলের সমস্যার কারণে মেসিকে চলে যেতে হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা তাকে কিছু আনন্দ দিতে পেরেছি।” অন্তিম সময়ে ডি মারিয়ার জায়গায় মাঠে আসেন নিকলাস ওতামেন্দি। সিনিয়র দলে হয়তো নিজের শেষ টুর্নামেন্টে খেললেন অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার। ফাইনাল শেষে ট্রফি নেওয়ার সময় দীর্ঘ দিনের এই দুই সতীর্থকে ডেকে নেন মেসি। এক সময়ের কঠিন অধ্যায় পেরিয়ে হয়তো এমন বিদায়েরই স্বপ্ন দেখেছিলেন তারা।
2024-07-15